মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে নিজের জমি অন্যেকে বন্দোব্যস্তা দেয়ার অভিযোগ করেছেন বীরমুক্তিযোদ্ধা হানিফ মাহমুদ।
তিনি বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১১টার দিকে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে তার বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে বীরমুক্তিযোদ্ধা হানিফ মাহমুদ বলেন, কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের খাসেরহাট বাজার সংলগ্ন আমার পিতা মৃত আলী আকবর খানের কালাইচর মৌজার ১০ শতাংশ জমি আছে। সেখান থেকে আমার পিতা তার জীবদ্দশায় দুই শতাংশ জমি একই ইউনিয়নের বজরুসার গ্রামের ইউনুস খানের নিকট বিক্রি করেন। কিন্তু সম্প্রতি বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন আমার পিতার দুই শতাংশ জমি খাস দেখিয়ে ইউনুস খানকে অবৈধভাবে লিজ দেন। আমি নিউজিল্যান্ড প্রবাসী হওয়ায় বিষয়টি আমার পরিবারের কাউকে জানানো হয়নি। লিজকৃত জায়গায় ইউনুস খান এরই মধ্যে দখল করে দোকানপাট নির্মাণ করেছে।’
এব্যাপারে বীরমুক্তিযোদ্ধা হানিফ মাহমুদ আরো বলেন, ‘বেলায়েত হোসেন প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর ধরে বাঁশগাড়ী ইউনিয়নে কর্মরত থেকে বেশ কিছু সরকারী জমি বেআইনীভাবে বন্দোবস্ত দিয়েছে। যাদের বন্দোবস্ত দিচ্ছেন তাদের থেকে আর্থিকভাবে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। এমন সরকারী কর্মকর্তার দুর্নীতি ও অনিয়ন থেকে রক্ষার জন্যে জেলা প্রশাসকের সহযোগিতা কামনা করছি। সেই সাথে আমার পৈত্রিক সম্পত্তির অবৈধ লিজ বাতিল করার জোর দাবী করছি।’
অভিযোগের বিষয় বেলায়েত হোসেন বলেন, ‘আমার এ ইউনিয়নে যোগদানের অনেক আগেই ইউনুস খান সম্পত্তি লিজ নিয়েছে। তারা প্রতি বছর ডিসিআর জমা দিয়েছে। এখানে আমার তো কোন দোষ নেই। জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তারা বন্দোবস্তু নিয়েছে। আমি কোন অনিয়মের সাথে জড়িত নই। আমাকে হেয় করার জন্যে কেউ মিথ্যেচার করছে।’
এব্যাপারে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগটি পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। অবৈধভাবে কারো সম্পত্তি অন্য কাউকে লিজ দেয়ার এখতিয়ার কারো নেই। কিভাবে হয়েছে, সব তদন্ত করে দেখতে হবে।’