স্টাফ রিপোর্টার:
মাদারীপুরের ডাসারে সৎ মায়ের গরম খুন্তির ছেকে বিথী আক্তার নামে এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে জখমের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, ডাসার উপজেলার আইসার গ্রামের মোল্লা বাড়ীর দেলোয়ার মোল্লার প্রথম স্ত্রী ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে প্রায় একযুগ আগে মারা যান। তার প্রথম স্ত্রীর সংসারে তিন ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে যান। তার সংসার দেখভাল ও সন্তান লালন-পালনের জন্য দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বরিশালের গৌরনদী উপজেলার ধানডোবা গ্রামের স্নেহ আরা বেগমকে। দেলোয়ার মোল্লার আগের স্ত্রী রেখে যাওয়া সন্তানের মধ্যে সবার ছোট বিথীকে লালন পালনের দায়িত্ব নেন তার সৎ মা। জানাগেছে ছোট বেলা থেকেই অমানবিক নির্যাতন করে আসছিল বিথীকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে ওই শিক্ষার্থীকে গরম খুন্তি দিয়ে শরীরে, হাতে ও মুখে ছেকা দেন তার সৎ মা স্নেহআরা বেগম।
এই ঘটনার পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চেষ্টা চালায় তার সৎ মা ও বাবা। বুধবার সরেজমিনে ওই শিক্ষার্থীর বাড়ীতে গিয়ে জানাগেছে তার সৎ মা ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই শিক্ষার্থীকে জোর করে বাড়ি থেকে চিকিৎসার কথা বলে অন্যত্র নিয়ে গেছেন।
শিক্ষার্থীর মামা জাহাঙ্গীর আলম জানান, আমার বোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পনের বছর আগে তিনটা ভাইগ্না ও দুই ভাগ্নি রেখে মারা যান। সবার ছোট বিথী। তাঁকে ওর সৎ মা গরম খুন্তি দিয়ে শরীলে বিভিন্ন স্থানে ছেকা দিয়ে ঝলসে দিয়েছে। এতে ওর শরীরে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে।ঘটনার পরে ওর সৎ মা ওকে নিয়ে মাদারীপুরের পেয়ারপুরে আত্মগোপনে চলে যায়। আমার বড় ভাইগ্না খবর পেয়ে ওর সৎ মায়ের কাছ থেকে ভাগ্নিকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে ডাসার থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিবারের কেউ এখন পর্যন্ত অভিযোগ নিয়ে আসেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।