রাজৈর প্রতিনিধি:
আগামী ২৬ ডিসেম্বর ৪র্থ ধাপে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তাই প্রচার প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে ইউনিয়নের এলাকাগুলো। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে জাচ্ছে প্রার্থীরা। তবে পোষ্টার-ব্যানার লাগানোসহ মাইক ব্যবহারে কেউ ই মনছেন না কোন নির্বাচনী আচারণ বিধি।
এ ঘটনায় প্রার্থীরা একে-অপরের প্রতিদ্বন্দ্বিদের দোষারপ করছেন। এর ফলে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়েছেন এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীরা। পরীক্ষা চলমান থাকা সত্ত্বেও সর্বক্ষণ মাইকের শব্দের কারণে পড়াশোনা করতে পারছেন না তারা।
পাইকপাড়া, কবিরাজপুর, হরিদাসদী-মহেন্দ্রদী ইউনিয়নে সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই প্রার্থীরা তাদের পক্ষে গভীর রাত পর্যন্ত নির্বাচনী আচারণ বিধিমালার তোয়াক্কা না করেই মাইকিং করছে। এতে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা করায় বিঘ্ন ঘটছে। এই নির্বাচনে কোন দলীয় প্রতীক না থাকায় আ.লীগের সমর্থিতরাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। যার ফলে প্রশাসন উদাস ভাবে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
এইসএসসি পরীক্ষার্থী মুন্না জানান, আমরা মাইকের শব্দের কারণে ঠিক মতো পড়তে পারি না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অতিরিক্ত মাত্রায় চলে নির্বাচনী মাইক। আরেক এইসএসসি পরীক্ষার্থী ফেরদাউসি বলেন, সকাল হলেই শুরু হয় মাইকের যন্ত্রণা। এর থেকে ২৬ তারিখ না গেলে মনে হয় না রেহাই পাবো।
এ ব্যাপারে পাইকপাড়া ইউনিয়নের টেলিফোন প্রতীকের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মশিউর রহমান মুন্না খলিফা বলেন, আমার প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা সকাল ৮ টা থেকেই তাদের প্রচারণার মাইকিং শুরু করে। এ বিষয়টি আমি নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। কিন্তু কোনো প্রতিকার পাইনি।
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, কেউ আমাদের কাছে এখনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।