বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৩২ বসতঘরের প্রায় ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অর্ধকোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানান অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) গভীর রাত ৩টার সময় বাঁশখালী উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পশ্চিম চাম্বল বাংলাবাজার সংলগ্ন জলদাশ পাড়ায় বিদ্যুতের শকট সার্কিট থেকে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আগুন মুহূর্তেই সব দিকে ছড়িয়ে পড়লে কোন কিছুই রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানায়, ওই এলাকার জলদাশ পাড়ার মিলন জলদাশ এর বাড়ি থেকে বিদ্যুতের শকট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডের সূত্রপাত ঘটে। ঘনবসতি হওয়ায় মুহূর্তেই আগুন সব দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৩২ বসতঘরের প্রায় ৬০ টি পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। পরবর্তী বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ততক্ষণে তাদের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
গভীর রাতে অগ্নিকান্ড সংঘটিত হওয়ায় তারা কোন কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি বলে জানান অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের একজন বিকাশ জলদাশ। এ ঘটনায় কোন লোকজন হতাহত হয়নি বলে জানা যায়।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ বসতঘর গুলো হল- মৃদল দাশ, বাদল দাশ, সমীরণ দাশ, সম্পদই দাশ, সুকুমার দাশ, রাজকুমার, সুধীর দাশ, স্বপন দাশ, রঞ্জুত দাশ (দুই পরিবার), হরি দাশ, রতন দাশ, পরিতোষ দাশ, সাগর দাশ (পাঁচ পরিবার), সুরেশ দাশ, হরিপদ দাশ, গুরুধন দাশ, মধুরাম দাশ, শ্রী নন্দ দাশ, সন্দা মোহন দাশ, সমীরণ দাশ (দুই পরিবার), গোপাল দাশ (৪ পরিবার) মতিলাল দাশ (দুই পরিবার), রাম প্রসাদ (৪ পরিবার), ভাটি রাম দাশ (তিন পরিবার), রাখাল দাশ, জদু রাম দাশ সহ ৩২ বসতঘর।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর টিম লিডার নুরুল বাশার বলেন, ‘চাম্বল ইউপি’র বাংলাবাজারের অদূরে পশ্চিম চাম্বল জলদাশ পাড়ায় অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে আমাদের ফায়ার সার্ভিস টিম দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। দীর্ঘ দেড় ঘন্টা ধরে আমরা কাজ করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছি। বিদ্যুতের শট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন তিনি। এ ঘটনায় জলদাশ পাড়ার ৩২ বসতঘরের প্রায় ৬০ থেকে ৬৫ পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে যায়। এতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরুপন করে জানানো হবে বলেন তিনি।
বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন এর ইনচার্জ আযাদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ৩২ বসতঘরের সর্বস্ব পুড়ে যায়। অনেকগুলো পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরুপন করা যায়নি। সঠিক তদন্ত সাপেক্ষে বলা যাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কত। তবে এটি ছিল ভয়াবহ।