মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের একটি মাহফিলের তারিখ দেয়া থাকলেও বেশি টাকা পেয়ে অন্য জায়গায় নতুন চুক্তিবদ্ধ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাহফিলের প্রধান বক্তা মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীর বিরুদ্ধে। বায়নার টাকা নিয়েও বেশি টাকার লোভে অন্যত্র চুক্তিবদ্ধ হওয়ায় মাহফিলের আয়োজন পন্ড হয়ে যায়।
এ ঘটনার রবিবার বিকেলে প্রতিবাদ করে দুই শতাধিক লোক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,মাদারীপুর সদর উপজেলার দক্ষিন খাগছাড়া নূরীয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও যুব সমাজের উদ্যোগে সোমবার বিকেলে তাফসীরুল কুরআন মাহফিল আয়োজন করা হয়। শনিবার বিকেলে মাহফিলের প্রধান বক্তা মাদারীপুরের মাহফিলে আসতে পারবেন না বলে জানায়। কারন জানতে চাইলে তিনি জানান বগুড়ায় একটি মাহফিলে বেশি টাকার চুক্তি হওয়ায় তিনি সেখানে যাবেন। অগ্রীম টাকা (বায়না) নিয়ে ওয়াজ মাহফিলে অংশ না নেয়ায় মাওলানার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। রোববার বিকেলে সদর উপজেলার খাগছাড়া এলাকায় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, ১৩ ডিসেম্বর ওয়াজ মাহফিলে অংশ নেয়ার জন্য ৪ মাস আগে ১০ হাজার টাকা বায়না দিয়ে মাওলানা মুফতি ইলিয়াছুর রহমান জিহাদীকে আমন্ত্রন জানায় এলাকাবাসী পক্ষে মাহফিল পরিচালনা কমিটি। কিন্তু ১১ ডিসেম্বর প্রধান বক্তা মুঠোফোনে জানান এই ওয়াজ মাহফিলে অংশ নিতে পারবেন না। তিনি বগুড়ার একটি মাহফিলে যাবেন। তিনি আগেই টাকা বেশি চেয়েছিলেন। আমরা ৬৫ হাজার টাকায় চুক্তি করেছিলাম । শুনেছি বগুড়ায় ৮০ হাজার টাকায় চুক্তিতে মাহফিল করবেন বক্তা।
খাগছাড়া মসজিদের ইমাম মাওলানা আ. সালাম রইস বলেন, তিনি ৮০ হাজার টাকা দাবি করেছিলেন পরে আমাদের সাথে চুক্তি হয়েছিল ৬৫ হাজার টাকায়। ১০ হাজার টাকা আমরা অগ্রীম দিয়েছি ৪ মাস আগে। এখন শুনি সে নাকি বগুড়ায় মাহফিল করবেন । সেখানে ৮০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়েছে।
মাহফিল কমিটির সভাপতি কুদ্দুস মল্লিক জানান, তার সাথে ৬৫ হাজার টাকায় চুক্তি হয়। এরইমধ্যে ১০ হাজার টাকা অগ্রিমও দেয়া হয়েছে। পরে জানতে পারি তিনি মাদারীপুরে ওয়াজে অংশ নিবেন না। বগুড়ায় ৮০ হাজার টাকায় চুক্তি করেন ওই দিন মাহফিলের জন্য।
এদিকে অভিযুক্ত প্রধান বক্তা বলেন, বৃষ্টির কারনে এলাকার লোকজন ওয়াজ বাতিল করেছে। আমি তাদের না বলিনি। আমার বিরুদ্ধে সম্পুর্ন অভিযোগ মিথ্যা।