জাহিদ হাসান:
মাদারীপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে চাচা হোসেন সরদারকে পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয়ার মামলায় অভিযুক্ত প্রধান আসামি সাইফুল সর্দারসহ ৭জনকে মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. আলাউল হাসান এর নেতৃত্বে ঢাকার ডেমরা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা দেড়টার দিকে মাদারীপুর জেলা পুলিশসুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্যজানান অতিরিক্ত পুলিশসুপার মোহাম্মদ কামরুল হাসান। এসময় সাত আসামিকে মাদারীপুর আদালতে প্রেরণ করাহয়। এরআগে সোমবার দুপুরে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে আসামিদের গ্রেফতার করাহয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালকিনি উপজেলার লক্ষীপুরই উনিয়নের দাঁতপুর গ্রামের মৃত আজিবর সরদারের ছেলে সাইফুল সর্দার, আতাউর সরদার, অলিল সরদার, একই গ্রামের সেকান্দার সরকারের ছেলে মানিক সরদার, সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের আব্দুসছালাম হাওলাদারের ছেলে রাশেদ হাওলাদার, চর খোয়াজপুর গ্রামের মান্নান সরদারের ছেলে তুরান সরদার ও একই গ্রামের সালাম হাওলাদারের ছেলে আপেল হাওলাদার।
সংবাদ সম্মেলনে মো. কামরুল হাসান জানান, গত ১ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে খোয়াজপুর-টেকের হাটবাজারে ১০ থেকে ১৫ জন লোক নিয়ে প্রতিপক্ষ সাইফুল সরদারের নেতৃত্বে হোসেন সরদারের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় প্রকাশ্যে তারা হোসেন সরদারের দুইপা পিটিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে তাকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি রকাহলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিনই ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করাহয়। এ ঘটনায় একটি সিসি টিভি ফুটেজ ভাইরালহয়। যেখানে ঘর থেকে বেরকরে পিটিয়ে দুই পা ভাঙ্গার দৃশ্য দেখাযায়। এঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে আহতের পরিবার একটি মামলা দায়ের করে। জেলা পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে সিসি টিভি ফুটেজ দেখে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে মোট ১০ আসাসিকে বিভিন্ন সময়ে গ্রেফতার করেন। এতে ঘটনার মূলহোতা সাইফুল সরদার তার গ্রুপের লোকজনকে গ্রেফতার করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। এছাড়া সাইফুর সর্দার ও আতাউর সরদারের বিরুদ্ধে ৮টি করে মামলা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশসুপার মো. মনিরুজ্জামান ফকির, অতিরিক্ত পুলিশসুপার ভাস্কর সাহা, অতিরিক্ত পুলিশসুপার সদর সার্কেল মো. আলাউল হাসান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এইচ এম সালাউদ্দিন প্রমুখ।
সম্পাদক ও প্রকাশক: জাহিদ হাসান
ইমেইলঃ
মোবাইল: ০১৯২৭৩০৮৬২০
Copyright © 2025 মাদারীপুর বার্তা. All rights reserved.