Madaripur Barta
ঢাকাশনিবার , ২৩ মার্চ ২০২৪
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. খেলাধুলা
  7. জবস্
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পড়াশোনা
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফিচার
  14. বিনোদন
  15. ভিডিও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ডাসারে দুই  প্রতিবন্ধী ভাইবোনের বেঁচে থাকার সংগ্রাম কাঁধে সংসারের ভার 

Jahid Hasan
মার্চ ২৩, ২০২৪ ২:৪৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সৈয়দ রাকিবুল ইসলাম:
ঈশ্বর থাকেন ঐ গ্রামে, ভদ্র পল্লীতে- এখানে তাহাকে খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না।’ ডাসার ব্যবাইজ্জার খাল পাড়ের গ্রামটি এ যেন মানিক বন্দ্যোপধ্যায়ের কালজয়ী উপন্যাসের পদ্মা পাড়ের সেই কেতুপুর গ্রাম।যেখানে অসংখ্য কুবের ও মালার বসবাস।এখানে দারিদ্র্য আর দুঃখ কষ্ট তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী।
বুধবার (২০ মার্চ) সরজমিনে গিয়ে দেখাগেছে, ডাসার উপজেলার খাল পাড়ের গ্রামে মো.জালাল হাওলাদার  ও তার পরিবারের দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত দুঃখ কষ্টের নির্মম ইতিহাস। পরিবারের মধ্যে অন্য সবার চেয়ে আলাদা জালাল হাওলাদার(৩৭) ও তার বড় বোন রাবেয়া খাতুন(৩৯)। জন্ম থেকেই দুই ভাই বোনের  গাঁয়ের রং সাধা বর্ণের।ছোট বেলায় বাবাকে হারিয়ে অভাব অনাটনের সংসারে সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠা দুই ভাই ও এক বোনের।সংসারের হাল ধরতে লেখাপড়া ছেড়ে নেমে পড়েন কাজে।বড় ভাই আলম কিছু দিন পরিবারের হাল ধরলেও বিবাহ করে তিনি আলাদা থাকেন।কোন রকম একটি খুপটি ঘরে বৃদ্ধা মায়ের সাথে থাকেন, মো. জালাল হাওলাদার ও তার বড় বোন রবেয়াসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।মো.জালাল হাওলাদারের মা, বোন ও স্ত্রী সন্তান নিয়ে ৮ সদস্যের অভাবের সংসার।ভিটেমাটি ছাড়া নেই কোন কৃষি জমি।পরিবারের হাল ধরতে মো. জালাল হাওলাদার ধান চাষ  ও অন্যের জমিতে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন।বড় বোন রাবেয়া খাতুন অন্যের বাড়ীতে কাজ করেন।প্রখর রোদ্রে চোখে ভালভাবে দেখতে পায়না তারা ।রোঁদের তাপে শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাল বর্ণ ধারন করে শরীলে ব্যথা অনুভব করেন।কাজ ঠিকমতো করতে পারে না।তাদের কাজে নিতে অনিহা অনেকের ।কৃষি জমিতে মাঝেমধ্যে কাজ করে কোনমতে চলে তাঁদের সংসার।তার শারীরিক প্রতিবন্ধী রেহনার বিয়ে হয়েছিল প্রায় একযুগ আগে।স্বামীও খোঁজ খবর রাখেনা।পিতৃহারা অভাব অনাটনের সংসারে থাকেন।তার বৃদ্ধা মায়ের বয়স হয়েছে।বিভিন্ন রোগ শোকে কাতর।টাকার অভাবে চিকিস্যা করাতে পারছে না।কৃষি জমিতে কাজ  করে কোনমতে সংসার চালান।অসহায় এই পরিবারটির চোখে মুখে যেন বিষন্নতার ছাপ।দুঃখ-দূর্দশা দিন যেন পিছুই ছাড়ছে না।এ যেন সিমাহীন দারিদ্র্যের সাথে নিত্য নতুন সংগ্রাম করে টিকে থাকার লড়াই।অসহায় এই পরিবারটি সকলকে সহযোগিতা করে পাশে থাকার আহবান জানান।
প্রতিবনন্ধী মো. জালাল হাওলাদার জানান,”ছোট বেলায় বাবা মারা যায়।ছোট বেলা থেকেই সংসারের হাল ধরতে হয় আমাকে।কৃষি কাজ ও অন্যের জমিতে কাজ করে যা পাই তাই দিয়ে কোনমতে সংসার চালাই।আমার বোনও অন্যের বাড়ীতে কাজ করে।শারীরিকভাবে আমি ও আমার বোন অন্য সকলের চেয়ে আলাদা।রোদে কাজ করতে কষ্ট হয়।চোখে ভালভাবে দেখতে পাই না।মানুষ তেমন কাজে নিতে চায় না।ঘরে বৃদ্ধা মা রয়েছে।অসুস্থ বৃদ্ধা মায়ের টাকার অভাবে চিকিৎসা করাতে পারি না।ভিটে আর থাকার ছাড়া আর কিছুই নেই।বৃষ্টির দিনে টিনের ছিদ্র দিয়ে ঘরে পানি পড়ে,ঘরে থাকতে কষ্ট হয়।সরকার ও সকলের কাছে সহযোগিতা চাই।”
প্রতিবেশী শামসুন্নাহার বেগম বলেন,”ছোট বেলা থেকেই দেখতেছি ওরা কষ্ট করে বড় হয়েছে।প্রতিবন্ধী দুই ভাইবোন মানুষের বাড়ীতে কাজ করে কোনোমতে সংসার চালায়।ঠিক মতো মা স্ত্রী ও সন্তানদের খেতে দিতে পারে না।”
এবিষয়ে ডাসার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ আফরোজ বলেন, ইতিমধ্যে দু’জন অসহায় প্রতিবন্ধীর বিষয়ে জানতে পেরেছি।তাঁদের মধ্যে একজনের প্রতিবন্ধীর কার্ড আছে।অপর একজনের কার্ড নেই।তার  বিষয়ে খোঁজ নিয়ে তিনি যাতে প্রতিবন্ধী কার্ড পেতে পারেন তার নিশ্চিত করা হবে।এছাড়াও তাদের সুবিধার্থে অর্থসামাজিক উন্নয়নে যদি কিছু করার থাকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।