মাদারীপুর প্রতিনিধি:
মাদারীপুরে যৌতুকের দাবীতে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। এইরমধ্যে অভিযুক্ত স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে মাদারীপুরের সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুইচারভাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইশিতা আক্তারের ১০ বছরের এক মেয়ে ও ৮ বছরের এক ছেলে রয়েছে।
স্বজনরা জানায়, মাদারীপুরের সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের সুইচারভাঙ্গা গ্রামের মাজেদ ঢালীর ছেলের এনামুল ঢালীর (৪২) সাথে ১২ বছরের আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় ঘটমাঝি গ্রামের আইয়ুব আলী মাতুব্বরের মেয়ে ইশিতা আক্তারের (৩৬)। বিয়ের সময় নগদ টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র দেয়া হয় এনামুলের পরিবারকে। এরপর প্রতিনিয়ত আরোও যৌতুকের জন্য ইশিতার উপর করা হয় শারিরিক নির্যাতন। এ বিষয়ে পরিবারের কাছে নালিশ দিয়েও পায়নি কোন প্রতিকার। সবশেষ শনিবার রাতে শ্বশুরবাড়ি থেকে ইশিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয় জেলা সদর হাসপাতালে।
স্বজনদের অভিযোগ, যৌতুক না দেয়ায় এনামুল, তার বড়ভাই টুটুল ঢালীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে ইশিতাকে। পরে বিষয়টি আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয় এনামুলের পরিবার। এই ঘটনার দোষিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
নিহত ইশিতার ভাই সোহেল মাতুব্বর বলেন, আমার বোনকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য আমার বোনকে এভাবে মেরে ফেলবে ভাবতে পারিনি। এই ঘটনায় জড়িত এনামুল ও তার পরিবারের লোকজন। এর কঠিন বিচার চাই।
ইশিতার মামা আকাশ মাতুব্বর বলেন, আমার ভাগিনিকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এখন তারা বলে, আত্মহত্যা করেছে। ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা কোন নারী আত্মহত্যা করতে পারে না। এর আগেও যৌতুকের জন্য ইশিতাকে নির্যাতন করতো। এই ঘটনায় এমন বিচার চাই, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এমন ঘটনা ঘটাতে সাহস না পায়।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি এএইচএম সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, খবর পেয়ে শনিবার রাতেই পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে পেলে বলা যাবে কিভাবে ইসিতা ঢালী মারা গেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত এনামুলকে আটক করা হয়েছে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: জাহিদ হাসান
ইমেইলঃ
মোবাইল: ০১৯২৭৩০৮৬২০
Copyright © 2025 মাদারীপুর বার্তা. All rights reserved.