Madaripur Barta
ঢাকামঙ্গলবার , ৭ জানুয়ারি ২০২৫
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. খেলাধুলা
  7. জবস্
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পড়াশোনা
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফিচার
  14. বিনোদন
  15. ভিডিও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মাদারীপুরে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে উৎপাদন করছে কয়লা, ঝুঁকিতে জনস্বাস্থ্য

Jahid Hasan
জানুয়ারি ৭, ২০২৫ ৫:১৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাহিদ হাসান:
মাদারীপুরের ডাসার উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা উৎপাদন করছে একটি চক্র। স্থানীয় এক কৃষকের জমি ভাড়া নিয়ে তা ভরাট করে এ কাজ করছে চক্রটি। কাঠ পোড়ানোর ধোয়া আর গন্ধে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। জেলা প্রশাসন একবার গিয়ে কাঠ পোড়ানোর চুল্লি ভেঙে দিয়ে স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিতে বলে। কিছুদিন যাওয়ার পরই প্রশাসনের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আবার চুল্লি তৈরি করে কাঠ পোড়ানো শুরু করেছে চক্রটি।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, জেলার ডাসার উপজেলার ধুলগ্রামে রাস্তার পাশে ইট ও মাটি দিয়ে এক সারিতে ৯টি চুল্লি ও অন্য পাশে ১টি চুল্লি মোট ১০টি চুল্লি তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি চুল্লিতে কাঠ সাজিয়ে রাখা হয়েছে আর ৩টি চুল্লিতে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। কয়লা তৈরি করার জন্য প্রচুর গাছ চুল্লিগুলোর পাশে রাখা হয়েছে। চুল্লিতে সাজানো গাছ পোড়ানোর পর আবার পাশে রাখা গাছগুলো পোড়ানোর জন্য সাজানো হবে। প্রায় ৪/৫ জন শ্রমিক এখানে কাজ করছে। তাদের এই গাছ পোড়ানোর কথা জিজ্ঞেস করলে তারা কোন কথা বলতে রাজি হয়নি।
সাবেক ইউপি সদস্য মোশারেফ হাওলাদার বলেন, এখানে কুদ্দুস সরদারের জমি ভাড়া নিয়ে ঘোষের হাটের আক্কাস নামের এক ব্যক্তি কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির এই ভাটা দিয়েছে। এতে যেমন পরিবেশের চরম ক্ষতি হচ্ছে তেমনি আসে পাশের বাসিন্দাদেরও সমস্যা হচ্ছে। যখন কাঠ পোঁড়ায় তখন চারদিক ধোয়ায় ভরে যায়। মানুষের শ^াস নিতে কষ্ট হয়। এছাড়া কাঠ পোড়ানোর একটা গন্ধ আছে। এই গন্ধও অসহ্য আমাদের জন্য। এছাড়া বুড়া মানুষ ও বাচ্চারা অসুস্থ্য হয়ে পরছে। প্রভাবশালীদের সাথে ভাটা মালিকের ভাল সম্পর্ক থাকায় তারা ভাটা মালিকের পক্ষে থাকে। তাই কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। এলাকার মানুষের ভালোর জন্য এটা দ্রæত বন্ধ করে দেয়া উচিত।
স্থানীয় দোকানদার ওয়াজেদ আলী, স্থানীয় আব্দুল মাজেদ ও আব্দুল আউয়াল বলেন, প্রশাসনের লোকজন একবার এসে চুলাগুলো ভেঙে দিয়েছে। তারপর কিছুদিন বন্ধ ছিল। আবার হঠাৎ করে কাঠ পোড়ানো শুরু করেছে। শুনেছি সবাইকে ম্যানেজ করেছে আক্কাস।
সংবাদকর্মীরা ভাটায় গেছে জানতে পেরে আক্কাস তার কর্মচারীর মুঠোফোনে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলে। সে স্বীকার করে এভাবে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করা অবৈধ। তবে সবাই ভাই ব্রাদার। তাই কেউ তাকে কিছু বলে না। এরপর প্রতিবেদকে লোক পাঠিয়ে টাকা দেয়ার কথা বলে। প্রতিবেদক টাকা নিতে অস্বীকার করলে মুঠোফোনের লাইন কেঁটে দেয় আক্কাস।
কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির বিষয়টি জেলা প্রশাসক মোসা: ইয়াসমিন আক্তারকে জানালে তিনি দ্রæত ব্যবস্থা নেয়ার কথা বললেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাটার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা জেলা প্রশাসন নেয়নি।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।