Madaripur Barta
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
  1. অপরাধ ও দুর্নীতি
  2. অর্থনীতি
  3. আইন-আদালত
  4. আর্ন্তজাতিক
  5. কৃষি ও প্রকৃতি
  6. খেলাধুলা
  7. জবস্
  8. জাতীয়
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. ধর্ম
  11. পড়াশোনা
  12. প্রবাসের খবর
  13. ফিচার
  14. বিনোদন
  15. ভিডিও
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ মদতে চলছে অনুমোদনবিহীন সিটি হাসপাতাল

Jahid Hasan
ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০২৫ ৭:০৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাহিদ হাসান:
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় কর্তৃপক্ষের প্রত্যক্ষ মদতে চলছে অনুমোদনবিহীন সিটি হাসপাতাল। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের পাশে অবস্থিত হাসপাতালটির নূন্যতম কাগজপত্র না থাকা সত্যেও দীর্ঘদিন ধরে রমরমা ব্যবসা করে আসছে। অনুমোদন না থাকলেও এই হাসপাতালে রোগি দেখছেন সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকরা। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, পরিবেশ অধিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের কর্তাব্যক্তিদের নিরব ভূমিকা জনমনে নানা পশ্নের জন্ম দিচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার টেকেরহাট এলাকায় ৬ তলা ভবনের চলছে সিটি হাসপাতালের কার্যক্রম। জেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালসহ ঢাকা থেকে সরকারি হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিচ্ছেন এই হাসপাতালে। জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে রোগিরা আসছেন চিকিৎসা সেবা নিতে। প্রথমে হাসপাতালে ঢুকলেই বামপাশে চোখে পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি ফার্মেসী। এরপর বাম পাশে সরি করে কয়েকটি রুম। জানা যায় এগুলো ডাক্তার চেম্বার। ডানপাশে আছে একটি ডেক্স। আছে ডায়াগনষ্টিক যন্ত্রপাতি। উপরের তলাগুলোতে অপারেশন থিয়েটার, জেনারেল বেড ও কেবিন আছে। দেখলেই মনে হবে বড় মাপের একটি হাসপাতাল। ডাক্তারদের সাইনবোর্ডে চোখ রাখলেই মনে হবে অভিজ্ঞ ডাক্তাররা বসে এই হাসপাতালে। অভিজ্ঞ ডাক্তারদের মধ্যে বেশীরভাগ ডাক্তারই কোন না কোন সরকারি হাসপাতালে কর্মরত আছেন।
সিটি হাসপাতালটি ৩০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল বলে দাবি করেন কর্তৃপক্ষ। তবে হাসপাতালটিতে সরকার নির্ধারিত লোকবল নেই। ডায়াগনষ্টিক কার্যক্রমও চালাচ্ছেন অবৈধভাবে। হাসপাতাল ভবনের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিজস্ব ভবন এটি। রাজৈর পৌরসভা থেকে ৫ তলা ভবনের অনুমোদন নিয়ে ভবন করেছে ৬ তলা। পৌর কর্তৃপক্ষ বারবার চিঠি দিয়ে অতিরিক্ত তলা ভেঙ্গে ফেলার তাগিদ দিলেও তারা পৌর কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানছেনা। এরপর মাদারীপুর পরিবেশ অধিদপ্তরে যোগাযোগ করে জানা যায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রের জন্য এখন পর্যন্ত আবেদনই করেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এসএম শরীফুল ইসলাম জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কেউ হাসপাতালে লাইসেন্স করার আবেদনও করতে পারবে না। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়া কোন হাসপাতাল যদি তাদের কার্যক্রম চালায় তা সম্পূর্ণ অবৈধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আমরা দ্রæত এই হাসপাতালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিব।
ফায়ার লাইসেন্স নেই বলে নিশ্চিত করেছে মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। কিভাবে হাসপাতাল চালাচ্ছেন সিটি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তা জানা নেই স্বাস্থ্য বিভাগের কোন কর্মকর্তার। সরকারি হাসপাতালের ডাক্তারা অবৈধ এই হাসপাতালে কেন চিকিৎসা দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের কোন উত্তর নেই স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের কারো কাছে।
সিটি হাসপাতালের পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, আমাদের আগে একটি হাসপাতাল ছিল। সেই হাসপাতালের কাগজ দিয়ে আপাতত চালাচ্ছি। আমরা এই হাসপাতাল ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের কাগজপত্র করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তারাতারি কাগজপত্র করে নিব।
মাদারীপুর সিভিল সার্জন ডা. শামিম আক্তার জানান, অবৈধ হাসপাতাল না ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আমরা নিতে পারিনা। এ ব্যবস্থা নিবে জেলা প্রশাসন। আমরা তাদের অবৈধ হাসপাতালের তালিকা দিয়েছি। তারা কেন কোন ব্যবস্থা নেয় নি তা আমি বলতে পারবো না।
এ বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শাহ্ মো. সজীব এর কাছে গেলে তিনি বিষয়টি জেনে রাজৈর স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সাথে নিয়ে রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট শাহ্ মো. সজীব আমার সংবাদ’কে বলেন, জেলার স্বাস্থ্য বিষয়ক সকল সিদ্ধান্ত নিবেন সিভিল সার্জন। আমরা তাদের সহযোগীতা করবো। এ কথাও সত্য জেলার সকল বিষয় দেখার দায়িত্বও জেলা প্রশাসনের। বিষয়টি আপনার কাছে জানলাম। দ্রæতই বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।