মাদারীপুর প্রতিনিধি:
না ফেরার দেশে চলে গেলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জেলার গুনিব্যক্তিত্ব ডাঃ আবদুল বারি (৭৭)। ২৭ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে বৃহস্পতিবার সন্ধা সোয়া ৭টায় ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নানিল্লাহী…রাজিউন)। ডাঃ আবদুল বারি বার্ধক্য জনীত নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। তার মৃত্যুতে বিভিন্ন মহল শোক প্রকাশ করেছে।
পারিবারিক সুত্রে জানা গেছে, গত ১ জানুয়ারি ডাঃ আবদুল বারি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হয়। কিন্তু তার অবস্থা দিন দিন অবনতি হতে থাকে। শঙ্কটাপন্ন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে আইসিউতে নেওয়া হয়। সেখানে সন্ধা সোয়া ৭টায় মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার সকাল ৬টায় তার মরদেহ নিজ বাড়ি মাদারীপুর শহরের থানতলী আনা হয়। সেখানে তার হাজারো ভক্ত-অনুরাগী শেষ শ্রদ্ধা জানান। বাদ জুম্মা পৌর কবরস্থান জামে মসজিদ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়।
ডাঃ আবদুল বারি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শের সৈনিক ও মনে প্রাণে অসাম্প্রাদায়িক, ‘৬৯-এর গণ-আন্দোলনে ঢাকার রাজপথের অন্যতম সংগ্রামী নেতা, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ, বিএমএ মাদারীপুর জেলার সভাপতি, স্বাচিপ মাদারীপুর জেলার সাবেক সভাপতি, বিশিষ্ট চক্ষু চিকিৎসক গরীবের ডাক্তার খ্যাত ও ইতিহাস গবেষক। তার লেখা ৭টি দুর্লভ গ্রন্থের মধ্যে ‘মহানায়ক নেতাজী’, ‘বিস্মৃত বাঙালী নারী’, ‘অগ্নিগর্ভ মাদারীপুর’ অন্যতম।
বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন ডাঃ আবদুল বারির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক কাজল কৃষ্ণ দে, বিএমএ এবং স্বাচিপ মাদারীপুর জেলার নেতৃবৃন্দ, ইতিহাস ঐতিহ্য পরিষদ, জেলার বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।