কালকিনি প্রতিনিধি:
মাদারীপুরের কালকিনিতে স্কুল ছাত্রের গলাকাটা লাশ নিজ ঘর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারনা করা হচ্ছে দুর্বৃত্তরা হত্যা করেছে তাকে। নিহতের পরিবারের দাবি তাকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪-ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দিরচর গ্রামে থেকে জহিরুল ইসলাম সরদারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত জহিরুল ইসলাম সরদার(১৫) কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দিরচর গ্রামের কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের ছেলে। নিহত জহিরুল সমিতিরহাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জহিরুল ইসলাম সরদার একটি তিন রুমের বিল্ডিংয়ের এক রুমে থাকতো। প্রতিদিনের মতো রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যায়। সকালে তার কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে তার মা কহিনুর বেগম ডাকাডাকি করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে জহিরুলের কম্বল দিয়ে ঢাকা মৃতদেহ দেখতে পায়। পরে স্থানীরা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। জহিরুলের গলায় কোপ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২৪-ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮ টার দিকে মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দিরচর গ্রামে থেকে জহিরুল ইসলাম সরদারের মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত জহিরুল ইসলাম সরদার(১৫) কালকিনি উপজেলার পূর্ব এনায়েতনগর ইউনিয়নের মহরদ্দিরচর গ্রামের কাতার প্রবাসী বারেক সরদারের ছেলে। নিহত জহিরুল সমিতিরহাট মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। স্থানীয়রা জানায় তার তেমন কোন শত্রু নেই। স্থানীয় রাজনীতির কারনে এ হত্যা কান্ড ঘটনানো হতে পারে।

কালকিনি থানার অফিসার ইনচার্জ ইসতিয়াক আসফাক রাসেল বলেন, স্থানীরা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। জহিরুলের গলায় কোপ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

এ ব্যাপারে নিহতের মা কহিনুর বেগম জানান, আমার ছেলেকে পূর্বপরিকল্পিত নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। আমার স্বামী কাতার প্রবাসী। আমাদের তেমন কোন শত্রু নেই। আমাদের ঘরের তিন রুমের মধ্যে উত্তর কোণার রুমে জহিরুল ঘুমাতো। আমরা কোন সাড়া-শব্দ পাই নাই। কেন কি কারণে হত্যা করেছে, এখনও বুঝতে পারছি না। তবে যারাই হত্যা করুক, আমি হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

মাদারীপরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) চাইলাউ মারমা বলেন, ঘটনার শোনার পরে আমিসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মৃতদেহের সুরতহাল করা হয়েছে। নিহতের পরিবার মামলা দিলে আমলে নেয়া হবে। অপরাধী যেই হোক না কেন তাকে খুজে আইনের আওতায় আনা হবে।